নিজস্ব প্রতিবেদক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আগামী ২২ অক্টোবর। আজ বৃহস্পতিবার শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। এই দিনে কৈলাশ থেকে মা দুর্গা পিতৃগৃহে আগমন করবেন। দেশের বিভিন্ন মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ শুরু হবে।
পুরাণ মতে, এ দিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। মহালয়া মানেই আর ৬ দিন পর শুরু মায়ের পূজার। হিসাব মতে মহালয়া থেকে দুর্গাপূজার আগমনী ধ্বনি শুনতে পাওয়া গেলেও এবার ৬ দিন পরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে না। আশ্বিন মাস মল (মলিন) মাস হওয়ার কারণে এবার দুর্গাপূজা শুরু হবে প্রায় একমাস পর আগামী ২১ অক্টোবর (বুধবার) থেকে।
শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপর্ণ অনুষঙ্গ হলো এই মহালয়া। এই বছরের পুজো অন্যান্য বছরের মতো নয়।
পুরান মতে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনও মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়।
এ উপলক্ষে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু করেছে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, সনাতনধর্মাবলম্বী ভক্তদের জন্য ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মহালয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। করোনার কারণে এবারের আয়োজনে বেশকিছু ভিন্নতা আছে। ভক্তরা টেলিভিশনে যেন দেবি আবাহন দেখতে পান সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেবীর আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদযাপন করতে গুলশান বনানী সর্বজনীন পূজা পরিষদের আয়োজনে ভোরে বনানী মাঠে দেবী বরণের আয়োজন শুরু হয়েছে।